ইস্তাহার ও কর্মসূচি
– অতীশ দীপঙ্কর
ও বন্ধু গতানুগতিক জীবনের সুর
খুব বেসুরো আজ আমার সহ্যের!
ভাবছি কি করে পাল্টাই কত বছরের অভ্যেস!
একটু অন্যভাবে বলা একটু অন্যভাবে ভাবা।
যদি চেষ্টা করি একটু আলাদা করে থাকব
একটু আলাদা, অন্যভাবে যে জীবন স্রোতে!
সেদিন এক সম্মানীয় বন্ধু বলছিলেন-
“আর আপনার এক ঘেয়ে লেখা ভালো লাগেনা
এবার একটু পাল্টান একটু আলাদা কিছু লিখুন!”
মাথা চুলকে মুখ মুছে কিছুতেই আলাদা করে
ভাবনা এলো না এলো না বুকে বল একবারও!
কি করে হবে বলুন বন্ধু সুজন!
প্রতিদিনই প্রতিটি কথা লেখা হয় সব নিজের
সময় ধরে তারিখ দিয়ে সংবহন তন্ত্র জুড়ে।
রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে ছেলের মশারী গুজে
তারপর নিঃশ্বব্দে তার মাথায় হাতবুলিয়ে
এক নিঃশ্বাসে জায়গায় যাওয়া এত দিনকার।
সকালে ঘুমভাঙলেই বাজারে যাওয়ার আগে
বৃদ্ধ বাবা মা নড়েচড়ে উঠলো কিনা !
একবার অন্তত সরেজমিনে খোঁজা।
বাবা সেদিন পুরানো ভাঙা চেয়ারটায় বসে বল্লো-
“জানিস এ সব বিড়ি আর খেতে ইচ্ছে করে না!
দেখিস তো কোথায় নাসিরুদ্দিন বিড়ি পাওয়া যায়!
পারলে আনিস আমার জন্য এক তাড়া”
জানি বাবা পুরানো অভ্যাসেই থাকবে গোঁ নিয়ে
তাও আমার মনের মধ্যে কি ভয়ঙ্কর তাড়া!
কী করি বন্ধু! সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একই কাজ
প্রতিদিন সূর্যের সাথে আমিও ছুটি।
আকাশ তারায় কত ব্রহ্মাণ্ড বিস্ফোরণ প্রতিক্ষণে!
তাও তারারা আকাশ ভরে মিটমিট হাসে,
তারাও গতানুগতিক ধারায় পথে পথে।
যেদিন বিদায় নেবো, বন্ধু এক পথেই যেতে হবে
শত শহীদের রক্তের দাগ কি কখনও গেছে ধুয়ে মুছে!
ঘামে ভেজা পোষাকে কি রক্তের ধারা থামছে?
সকলের ঘাম ও দাম এক সুতোয় বাঁধবে?